Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাসিনার ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্ট জুলাই আন্দোলনে নিহত চার শহীদ পরিবার

Icon

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

হাসিনার ফাঁসির রায়ে সন্তুষ্ট জুলাই আন্দোলনে নিহত চার শহীদ পরিবার

ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন উৎসর্গ করা লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের চার শহীদ পরিবারের সদস্যরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণার পর যুগান্তরের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় কমলনগর উপজেলার চরবড়ালিয়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম মাসরুর, রামগতি উপজেলার আসলপাড়া এলাকার শহীদ মো. শাহাদাৎ হোসেন শামীম, শহীদ মো. সবুজ ও নোয়াখালীর সূবর্ণচর এলাকার শহীদ মো. হাছানের পরিবারের সঙ্গে।

এর মধ্যে শহীদ মাসরুরের স্ত্রী সালমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, আমার স্বামী দেশকে রক্ষা করার আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমার মতো আরও শত শত বোন বিধবা হয়েছেন, মা সন্তানহারা হয়েছেন। যার কারণে আমার স্বামীকে হারিয়েছি আজ তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। আমি চাই স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করা হোক।

শহীদ মাসরুরের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল খালেক বলেন, ছয় সন্তানের মধ্যে মাসরুরই ছিল একমাত্র উপার্জনকারী। তার উপার্জনেই চলত সংসার। দেশ বাঁচানোর আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হয়েছে মাসরুর। আজ শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়েছে শুনেছি। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় তার ফাঁসি কার্যকর দেখে যেতে পারলে মরেও শান্তি পাব।

শহীদ মাসরুরের ছোট ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ভাই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, এতে আমরা গর্ব করছি। তবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। কার্যকর হলে পুরো দেশের মানুষ খুশি হবে বলে আমার বিশ্বাস।

এদিকে অন্য শহীদদের পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, শহীদ মো. সবুজ উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আসলপাড়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তিনি ফেনীর মহিপালে শাহাদাত বরণ করেন। শহীদ হাছান উপজেলার চর গাজী ইউনিয়নের মৃত মো. সেলিমের ছেলে। তিনি থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত বরণ করেন।

শহীদ মো. শাহাদাত হোসেন শামীম উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আসলপাড়া গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। তিনি ঢাকার সাভার এলাকায় শাহাদত বরণ করেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম