|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাধ্যতামূলক অবসরে থাকা সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে প্রতারণা মামলায় বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বগুড়ার দ্বিতীয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনি সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। একই মামলায় তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর শহীদুল ইসলাম ও অন্যরা এসব তথ্য দিয়েছেন।
মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের তাজুরপাড়া গ্রামের এএসএম ইবনে আজিজের ছেলে। তবে তিনি বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার ভবনে বসবাস করতেন। হামিদুল আলম মিলন ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বগুড়া শহরের নিশিন্দারা শাহপাড়ার জাহিদুর রহমান তোফা তার (মিলন) বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় তিনি সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া তার স্ত্রী বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর লিপির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হলে তিনি আত্মগোপন করেন।
হামিদুল আলম মিলন দীর্ঘদিন মহানগর, রেঞ্জ ও সদর দপ্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নেন; কিন্তু তিনি এ সময় বগুড়া-১ আসনে তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণেও সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিসিপ্লিন উইং তদন্ত করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়। তাই তাকে বহিষ্কার না করে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। গত ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
