Logo
Logo
×

সারাদেশ

হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর দাবি বগুড়ার শহীদ পরিবারের

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

হাসিনার ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর দাবি বগুড়ার শহীদ পরিবারের

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পলাতক হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ায় বগুড়ার শহীদ পরিবার সন্তুষ্ট হয়েছে। তারা অবিলম্বে রায়টি কার্যকর করতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিকালে বোন ও ভগিনীপতির সঙ্গে নতুন স্বাধীনতা উপভোগ করতে বিজয় মিছিলে শহরের সাতমাথায় যাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্র জুনাইদ ইসলাম রাতুল (১৫)। মিছিল শহরের ঝাউতলা এলাকায় পৌঁছলে আন্দোলনকারীরা সদর থানায় হামলা চালান। তখন পুলিশ গুলি করলে রাতুল গুরুতর আহত হয়। ৪৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে মারা যায়।

হাসিনার ফাঁসির রায়ের খবরে নিহতের বাবা বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমান জিয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার পর তার খুব ভালো লাগছে। শেখ হাসিনার যেন ফাঁসি হয় সেজন্য গতকাল থেকে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি। আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেছেন।

তিনি দাবি করেন, এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। তাহলে তার ছেলের মতো অন্য শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।

গত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সকালে মিছিল থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানায় হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশ গুলি করলে আহত হন দুপচাঁচিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য ও হক্কানী টিস্যু কোম্পানির সেলসম্যান আবু রায়হান রাহিম (২৯)। ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে ৭ আগস্ট অস্ত্রোপচার করে তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। চিকিৎসকরা বাম পা থেকে গুলি বের করলেও ৯ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আবু রায়হান রাহিমের ছোট ভাই বায়েজিদ মুন্সী জানান, শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ হওয়ায় যে কি খুশি হয়েছি- তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এ রায়ে তার মা ও ভাবি (নিহতের স্ত্রী) অনেক খুশি হয়েছেন।

বায়েজিদ আরও বলেন, হাসিনাকে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে পারলে পরবর্তীতে আর কেউ এমন স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করতে পারত না। আর এতে তার মৃত ভাইয়ের আত্মা শান্তি পেত।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম