মতিউর রহমান তালুকদার। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরগুনা-৩ আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মতিউর রহমান তালুকদার মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর।
বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ূন হাসান শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মতিউর রহমান। সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মতিউর রহমান তালুকদার প্রথম আলোচনায় আসেন ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। আর ২০০১ সালের নির্বাচনে একই আসনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদার হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, ওই আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনটি আসনে বিজয়ী হওয়ার পর বরগুনা-৩ আসনটি শূন্য হয়ে যায়। পরবর্তী উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন মতিউর রহমান তালুকদার এবং দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ূন হাসান শাহীন বলেন, বরগুনার উন্নয়নে মতিউর রহমান তালুকদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধাভাজন নেতা ছিলেন, তার মৃত্যুতে আমরা বিএনপি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার এই মৃত্যু একটি শূন্যতা সৃষ্টি করবে।
উল্লেখ্য, রাজনীতিতে দীর্ঘ সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসা এই প্রবীণ নেতা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বরগুনা-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
