বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারী নির্যাতন মামলায় বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বরগুনা জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১ কোটি ২২ লাখ ৬৬৬ টাকার মামলা দায়ের করেন জসিম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপা।
অভিযোগ রয়েছে- বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রবাসীর স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্যের বোনের মেয়ে। পরে তার প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন।
পরে ২০২২ সালের ২৫ জুন ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপার তথ্যমতে- নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তার বিয়ের খবর চট্টগ্রামে বসবাসরত প্রথম স্ত্রী জানতে পারলে এ নিয়ে তৈরি হয় ঝগড়াঝাটি, দ্বন্দ্ব। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিপাকে এড়িয়ে চলতে থাকেন তিনি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জসিম উদ্দিন পুনরায় লাভলী আক্তার নিপার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এতে বাদসাধেন নিপা। শিক্ষা কর্মকর্তা তখন স্থানীয় লোকজন ধরে নিপাকে পুনরায় গত ২৮ এপ্রিল ৯১ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিবাহ করেন এবং তার সঙ্গে বসবাস করতে থাকেন।
পরবর্তীতে জসিম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী এ বিয়ের বিষয় জানতে পারলে পারিবারিক চাপে তিনি নিপাকে তালাক দেন। এমনকি গত ২ অক্টোবর জসিম উদ্দিনকে নিয়ে নিপার বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে আসেন প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগম। এতে নিপা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তিনি কাবিনের টাকা ও খোরপোশ দাবি করে জেলা জজ কোর্টে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি চট্টগ্রাম পাহারতলী থানার ওসিকে আমলে নিয়ে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রঞ্জুআরা শিপু বলেন, এ মামলায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে এবং সত্যতা পাওয়া গেছে তিনি যৌতুক চেয়েছেন। মামলাটি এখনো ফাইলিংয়ে আছে- আমার কাছে এখনো আসেনি।
