Logo
Logo
×

সারাদেশ

ডিসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০৬ পিএম

ডিসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

বগুড়ার নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও ১০ লাখ টাকা ঘুস দাবি করে এক যুবককে চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। চাকরিবঞ্চিত শাহাদত হোসাইন বগুড়ার জেলা প্রশাসকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।

কৈফিয়তের জবাব না দেওয়ায় আদালত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার নামুজা এসএসআই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বগুড়া শহরের মাটিডালী এলাকার শাহাদত হোসাইন ওই পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৩৪.৫০ নম্বর পেয়ে শাহাদত হোসাইন প্রথম হন।

এদিকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রুস্তম আলী তাকে একটি হোটেলে ডেকে নিয়োগের বিনিময়ে ১০ লাখ ঘুস দাবি করেন। পরীক্ষায় প্রথম হওয়ায় তিনি ঘুস দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাই তাকে বঞ্চিত করে গত ৬ অক্টোবর পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

শাহাদত হোসাইন বলেন, তিনি বিদায়ী জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার কাছে গিয়ে অভিযোগ করলে তাকে অপমান করে বের করে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিনি গত ৯ অক্টোবর বগুড়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে জেলা প্রশাসকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন জানান, আদালত বিবাদীপক্ষকে কৈফিয়ত তলব করলেও তারা সাত দিনের মধ্যে জবাব দেননি। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে বিবাদীপক্ষ জবাব দাখিল করলেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

বগুড়া জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমজান আলী আকন্দ জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বগুড়ার জেলা প্রশাসক গত ১৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়েছেন। তিনি অভিযোগের ব্যাপারে আদালতে জবাব দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

বগুড়া জেলা জজ আদালতের গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) শফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, মামলাটি ডিসির ব্যক্তিগত নামে হয়নি। পদের (সরকারি পদ) ওপর এ ধরনের অসংখ্য মামলা হয়ে থাকে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম