Logo
Logo
×

সারাদেশ

একসঙ্গে আহার করলেন ১০ হাজার মানুষ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম

একসঙ্গে আহার করলেন ১০ হাজার মানুষ

প্রতিবারের মতো এবারও জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রীশ্রী সার্বজনীন রক্ষা কালীপূজা উদযাপন করলেন ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর-গোল্লা-ময়মন্দি গ্রামবাসী।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) পূজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে কীর্তন মহাপ্রভুর ভোগরাগ (মহোৎসব) অনুষ্ঠানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১২ সহস্রাধিক ভক্ত পুণ্যার্থী প্রসাদ (মধ্যান্নভোজ) গ্রহণ করেন।

বিশাল এ আয়োজন করতে ২ দিন আগে থেকেই ২০ জন রাঁধুনীসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী রান্নার প্রস্তুতি শুরু করেন। পরে দুপুর আড়াইটা থেকে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী খাবার পরিবেশন করেন। খাবার চলে সন্ধ্যা অবধি।

পূজায় হঠাৎ এসে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ঢাকা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে ধানের শীর্ষের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

মন্দির কমিটির সভাপতি তপন কুমার হালদার বলেন, ২০০ বছর ধরেই এ কালীপূজার আয়োজন করা হয়। পূজা উপলক্ষে নবাবগঞ্জসহ আশপাশে বিভিন্ন জেলা থেকেও ভক্তরা আসেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে কীর্তন মহাপ্রভুর ভোগরাগের (মহোৎসব) আয়োজন করা হয়। এবারও দুপুরে একসঙ্গে ১০ হাজার মানুষের জন্য খাবারে আয়োজন করা হয়েছে। মন্দিরের এ ঐতিহ্যের ধরা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব হালদার বলেন, অনুষ্ঠানটি এলাকাবাসী হিসেবে এটি আমাদের গর্বের বিষয়। হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান সবাই একসঙ্গে বসে একবেলা আহার করছি এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর হতে পারে না। আগামীতেও এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

কমিটির সহ-সভাপতি ও সমাজ প্রধান সম্ভু মাদবর বলেন, গোবিন্দপুর গ্রামে সব ধর্মের মানুষের বসবাস। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার উৎসব পালন করি। এত বড় আয়োজনে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। আমাদেরও সব ধর্মের মানুষ সহযোগিতা করেন।

গীতা রানী বলেন, আমি এলাকার মেয়ে। তবে প্রতি বছরই পূজার আগে বাবার বাড়িতে আসি। এটা আমার জন্য উৎসবের দিন। আমরা আমাদের উৎসব পালন করি আর অন্য ধর্মের মানুষ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেন। পূজা উপলক্ষে প্রতি বাড়িতেই মেয়েরা বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্তরা বলেন, প্রতি বছরই কালীপূজা উপলক্ষে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সকালেই এখানে আসি। তারপর কীর্তনে অংশ নিয়ে থাকি। অনুষ্ঠানকে ঘিরে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। সবার অংশগ্রহণে মন্দির প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম