Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

Icon

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম

স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক নাহার বানু সুলতানা। ছবি: যুগান্তর

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়ার কেশালীডাঙ্গা কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নাহার বানু সুলতানার বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। 

এ সময় তার বাড়িতে অবস্থানরত আরেক শিক্ষক এসএম কামরুল হাবিব সুমনকেও লাঞ্ছিত করাসহ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে হামলাকারীরা। 

এই অভিযোগে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক নাহার বানু সুলতানা ও এসএম কামরুল হাবিব সুমন। নাহার বানু সুলতানা কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামের ও এসএম কামরুল হাবিব সুমন জামালপুর মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সাদুল্লাপুর শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী নাহার বানু সুলতানা তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার কলেজ জীবনের এক বান্ধবীর বড় ভাই এসএম কামরুল হাবিব সুমন। সেই সম্পর্কে আমিও তাকে বড় ভাই হিসেবে মেনে চলি।একইসঙ্গে কারও পরিবারে সমস্যা সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রেও আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াই। 

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবেশী কছির উদ্দিনের ছেলে আজাহারুল ইসলামের সঙ্গে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। 

এ ঘটনায় আমার ননদ ইয়াসমিন আক্তার ইতি ও তার স্বামী হারুন অর রশিদ হারুন এবং প্রতিবেশী শহিদুল মিয়া ও হারুন অর রশিদ মানিক গংরা আমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে আসছেন। এ কারণে সেই প্রতিপক্ষরা আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর জন্য দীঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন। এরই

একপর্যায়ে গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে বড় ভাই সুমনকে ফোন দিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও নিত্যপণ্য কিছু জিনিস কিনে আমার বাড়িতে আসতে বলি। তখন তিনি মানবিক হয়ে এসব জিনিসপত্র কিনে আমাদের বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর শত্রুতার জেরে সেই প্রতিপক্ষরা তাদের লোকজন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে আমার বসতবাড়ির গেইটের উপর দিয়ে ভেতর প্রবেশের পর হামলা করে আমাকে শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টাসহ শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে ভাঙচুর করিয়ে লুটপাট করেন। তখন আমার গলায় থাকা প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকাসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। 

এ সময় আমি বাঁধা দিতে গিয়ে আমাকে ও বড় ভাই সুমনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অপপ্রচারে করেছে। যা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট প্রচার চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে আমার ও সুমন ভাইসহ আমাদের উভয় পরিবারের সুনাম নষ্টসহ মানহানি হয়েছে। বর্তমানে প্রতিপক্ষরা আমাকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চেষ্টায় বাড়িতে না ওঠার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমি ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, উল্লেখিত ঘটনার কেউ কোন অভিযোগ করেনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম