‎পিরোজপুরে গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক ডাকাত সদস্য আহত হয়েছেন।

শনিবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার ৩ নাম্বার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

‎পিরোজপুর সদর থানার এসআই মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎নিহত ডাকাতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটক ডাকাত সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার ৩ নাম্বার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের অনুকুল রায়ের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রধারী অন্তত বেশ কয়েকজন ডাকাত দল প্রবেশ করে। দরজা খুলে দিতে বাধ্য করার জন্য ডাকাতরা ঘরের বাইরে অবস্থানরত লোকজনকে অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে গৃহকর্তা বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দেন।

ঘরে ঢুকেই তারা অনুকুল রায়ের পরিবারের সব সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তার কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিঙ্কু রায়কে মাথায় আঘাত করে আহত করে। ডাকাত দল ঘর থেকে এসময় আনুমানিক ৫ ভরি স্বর্ণ, ৮ ভরি রুপা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ সাড়ে ১৩ হাজার টাকা লুট করে পালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে আশপাশের গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হন। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় উত্তেজিত জনতা আটক ডাকাতদের গণপিটুনি দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দুজনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

‎পিরোজপুর সদর থানার এসআই মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।