ব্যবসায়ী হত্যা: দুজনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লা ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
আদালতের রায়ের পর এক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক সাবরিনা নার্গিস এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া মামলার চার্জশিটভুক্ত ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দেড়কোটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জিয়া উল্লাহ ওরফে জিয়া ও একই গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে জুয়েল রানা ওরফে জুয়েল।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের দেড়কোটা গ্রামের ক্বারি ফজলুল হক, আজাদ রহমান, আবদুল কাদের, কবির আহমেদ ও ফেলনা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন। রায় ঘোষণাকালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কবির আহমেদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্য ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় পূর্ববিরোধের জেরে জিয়া ও তার সহযোগীরা ব্যবসায়ী আনোয়ারের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিলে তারা আনোয়ারকে কুপিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তার শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা আনোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়। পরদিন ২৩ এপ্রিল এ ঘটনায় নিহতের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট জেলা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান আদালতের নির্দেশে ১৯ জনের বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুমিনুল হক ভূঁইয়া। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন বলেন, পলাতক আসামিরা এখনো আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি চাই, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।
