শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
এসএ মাহমুদ সেলিম, পঞ্চগড়
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় পঞ্চগড়ে হু হু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা।
মঙ্গলবার সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। আর বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮-১০ মাইল।
পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের সূর্য উঠলেও হালকা কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে ভোরের শুভ্রশিশির। বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে শিশির কণা। শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় শ্রমজীবী মানুষদের। অবশ্য বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে মিলছে ঝলমলে রোদ। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রার বড় পার্থক্য শীতের অনুভূতিকে আরও তীব্র করছে।
সন্ধ্যা নামার পর থেকে মধ্যরাত এবং পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। সকাল ৯টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল করতে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিকে শীত ঘিরে কৃষকরা পঞ্চগড়ের ঘরে ঘরে নবান্নের আয়োজন চলছে। সেই সঙ্গে পিঠাপুলির উৎসবও চলছে। শীতকে উপভোগ করতে পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হুলির ধাম, জারি সারি গানের আয়োজনও চোখে পড়ছে। ইতোমধ্যে শীতকে ঘিরে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় শীতকালীন মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন অনেক রোগী আসছেন। এদের অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা এই মুহূর্তে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
