সাবেক ডিসি ও যুবদল নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের সদ্য সাবেক জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনসহ নয়জনকে আসামি করে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে দুটি ফৌজদারি মামলার আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’-এর স্বত্বাধিকারী আতিকুল ইসলাম কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এসব আবেদন দাখিল করেন।
দুটি আবেদনের একটিতে কক্সবাজার জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহমেদ উজ্জ্বল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার রোমনের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদিও আদালত আবেদন গ্রহণ করলেও মামলা নেওয়া হবে কিনা—সেই সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জানাননি বিচারক।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ুন জানান, আদালত আবেদন দুটি ফাইল করেছেন এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত পরে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারক।
মামলার আবেদনে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- কক্সবাজারের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন, বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (বন্দর ও পরিবহণ) একেএম আরিফ উদ্দীন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউর রশিদ খন্দকার, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষন কান্তি দাস, সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাফি ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী প্রজ্ঞান চাকমা, সাবেক ডেপুটি কালেক্টর মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খান, গার্ডিয়ান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এবং ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা।
দ্বিতীয় আবেদনে প্রথম পাঁচজনের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর তাজমিন আলম তুলি, জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ উজ্জ্বল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. সরওয়ার রোমন।
আবেদনে বলা হয়, বিআইডব্লিউটিএর উদ্যোগে বাঁকখালী নদীর নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উত্তোলিত ৫০ লাখ ঘনফুট ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বিক্রির জন্য গত ২৪ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ‘উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল’ দরপত্র দাখিল করে এবং সর্বোচ্চ দর দেয়—প্রতি ঘনফুট ৫.৩৭ টাকা, মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতার প্রস্তাব ছিল ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বাদীর অভিযোগ, সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ পাওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় মামলাতেও একই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে এ বছরের ১৯ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয়টি ২৪ নভেম্বর।
