শিশু জায়ান হত্যা: রশির সূত্র ধরে গ্রেফতার প্রতিবেশী
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জায়ান রহমান (৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝুলন্ত মরদেহে ব্যবহৃত রশির সূত্র ধরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ইউনুচ মোল্যাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার তাকে নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইউনুচ মোল্যা আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
আলফাডাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রিস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে শিশুটির ঝুলন্ত রশিটি। পুলিশ ওই রশির আলামত ধরে তদন্তে অগ্রসর হতে থাকে ও পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে রশিটি ক্রয়ের তথ্য পায়। পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে প্রতিবেশী মো. ইউনুচ মোল্যা মফিজ খানের দোকান থেকে একটি রশি কিনেছিলেন, যার সঙ্গে উদ্ধার হওয়া রশির মিল রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই ইউনুচ মোল্যাকে সন্দেহের তালিকায় এনে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়।
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রশি ক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পুলিশের দাবি, এই অস্বীকারের ফলেই তাদের সন্দেহ আরও জোরালো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন বিশ্বাস জানান, কারাগারে রেখে মামলার নিবিড় তদন্ত পরিচালনার স্বার্থে এবং হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে।
আলফাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহজালাল আলম জানান, ঘটনার সঙ্গে কিছুটা সম্পৃক্ততা ও রশি কেনার বিষয়ে মিথ্যা বলার কারণে সন্দেহের সৃষ্টি হওয়ায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
