বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার ৪ দিন পর প্রত্যাহার
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে স্নাতক (বিএসএস) সনদ জালিয়াতি করে ভুয়া সনদ তৈরি ও ব্যবহারের অভিযোগে নাটোরের আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বাদী মাসুদ আলী।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে সিংড়ার আমলি আদালতে বিচারক বিশ্বজিত চক্রবর্ত্তীর কাছে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে বলে জানান বাদীর আইনজীবী মাসুদ রানা।
পরবর্তীতে বাদী কোনো পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১ মার্চ মামলাটি প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত মো. মোশারফ হোসেন (৫১) বগুড়ার নন্দীগ্রামের বুড়ইল এলাকার প্রয়াত হামির উদ্দিন সরকারের ছেলে। বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য সম্প্রতি আবার দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সিংড়া আমলি আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নাটোরের পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিলেন।
আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, সোমবার দুপুরে বাদী অনেক লোকজন নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন- মামলাটি আর চালাতে চান না। পরবর্তীতে বাদী কোনো পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১ মার্চ মামলাটি প্রত্যাহার হয়ে যাবে; কিন্তু ওই তারিখে যদি তিনি এসে বলেন মামলা চালাতে ইচ্ছুক, তাহলে মামলা চলবে। আজকে ইনি আবেদন দেওয়ার পরে উনার জবানবন্দি নিয়েছেন বিচারক। দরখাস্তটা নথিভুক্ত করা হয়েছে, ধার্য তারিখে আদেশ হবে। বাদীর সঙ্গে বিবাদীর আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে।
এর আগে মামলার বরাতে বাদীর আইনজীবী মাসুদ রানা বলেন, নাটোরের সিংড়ার সাওইল গ্রামের মো. মাসুদ আলী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসএস ছাত্র ছিলেন, তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২১২৪৯৩ ও পরীক্ষার রোল ১৩৬৮৬৯। সেই বছর মাসুদ আলী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের করে অকৃতকার্য হলে পরে আর কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। মোশারফ হোসেন চতুরতার মাধ্যমে বাদীর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুরে ১৯৯৩-৯৪ সেশনে বিএসএসে দ্বিতীয় শ্রেণিতে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পাশ দেখিয়ে জাল সনদ সংগ্রহ করেন। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বরে সেই সনদ দেখিয়ে বগুড়া আজিজুল হক মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি আসামির সেই সনদ চ্যালেঞ্জ করলে দেখা যায় তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে বিএসএস সনদ তৈরি করেছেন বাদীর রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ও সেশন ব্যবহার করে।
মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি উনাকে চিনিও না, জানিও না। লোকজনের কাছে শুনেছি উনি মামলা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি মনে হয় ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমার জনপ্রিয়তা দেখে মনোনয়ন বঞ্চিতরা এসব মিথ্যা, ভুয়া, বানোয়াট অভিযোগ করিয়েছেন।
