Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ পিএম

বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা

ছবি: যুগান্তর

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে। আফজাল হোসেন নামে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মামলাটি করেন। 

মামলাটি আমলে নিয়ে বাগমারা থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- আসামিরা ‘মস্তান’ ও ‘সন্ত্রাসী’ প্রকৃতির ব্যক্তি। গত বছর দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতা ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়ার লোক পরিচয়ে এলাকাজুড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছেন। তিনি খড়ের ব্যবসা করেন। সম্প্রতি তার মোকামে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পুরো টাকা না পেয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যান। 

এদিকে মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা সবাই বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী বলে বাদী জানিয়েছেন। আসামিরা হলেন- বাগমারা গ্রামের আসাদুল ইসলাম (৪৮), রূহুল আমিন সনি (৪০), লাল মোহাম্মদ লাল্টু (৩২), রানা আহমেদ (৩০), সাব্বির আহমেদ (২৫), সেলিম হোসেন (৩৫) ও মেহেদী হাসান রকিসহ (২৫) কয়েকজন। এদের মধ্যে রহুল আমিন সনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপি প্রার্থী জিয়ার ঘনিষ্ঠ ক্যাডার। 

যদিও রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ডিএম জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, তিনি ঘটনা সম্পর্কে অবগত নন। কারা কার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাও জানেন না। তবে বাগমারায় তার কোনো সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী নেই। 

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়েছে- আসামিরা বিভিন্ন সময় আফজাল হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে আসামিরা বাদীর খড়ের আড়তে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজির হন। তারপর আফজালকে বলেন, এখানে ব্যবসা করতে হলে তাদের ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। আফজাল চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে রহিুল আমিন সনি ধারালো চাকু বের করে আফজালকে তাড়া করেন। এ সময় অন্য আসামিরা বাদীকে ঘিরে ধরেন এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুসি-লাথি মারতে থাকেন। আসামি লাল্টু তার হাতে থাকা লোহার রড় দিয়ে বাদীকে বেধড়ক মারধর করেন। অন্যরাও মারধর করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। 

যাওয়ার সময় আসামিরা বলে যায়, পুরো ৫ লাখ টাকা না দিলে এবার এসে জানে মেরে ফেলা হবে। তারা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি থানায় মামলা করতে যান। তবে পুলিশ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলার করার পরামর্শ দেন। 

বাদীর আইনজীবী শারমিন কানিজ জানান, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। এরপর মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী ধার্য তারিখে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাগমারা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, সাবেক সেনাসদস্য আদালতে একটি মামলা করেছেন বলে শুনেছি। তবে আদালতের আদেশের কপি এখনো থানায় পৌঁছেনি। আদেশের অনুলিপি পেলে সেই অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম