শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত কর্পোরাল মাসুদের পরিবারে শোকের ছায়া
নাটোর ও লালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। তাদের একজন নাটোরের লালপুর উপজেলার বোয়ালিপাড়ার কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা।
রোববার দুপুরে এ খবর পৌঁছলে তার বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শনিবার রাতে নিহতের খবরের পর রোববার দুপুরে নিহতদের পরিচয় জানানো হয় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের সামাজিক মাধ্যমে।
নিহত কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (৩৮) নাটোরের লালপুরের বোয়ালিয়াপাড়ার মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। পরিবারে তার মা, স্ত্রী ও আট বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
মাসুদ রানার আকস্মিক মৃত্যু সংবাদে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তার স্ত্রী আসমা উল হুসনা আঁখি। শোকে স্তব্ধ হতবাক হয়ে গিয়েছেন তার মা মর্জিনা খাতুন।
চোখের পানি মুছতে মুছতে মা মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার ছেলের জোত-জমি কিচ্ছু নাই। আগে তো পয়সাকড়িও কম পেত। আমার স্বামী নাই, সংসার নাই, আমার বাপেরও কিছু নাই। দুই কাঠা করি জমি হয়তো ওরা ভাগে পাবি। এখন কি কইরি চলব আল্লাহই ভালো জানে। তার নাবালক মেয়েটাকে তো মানুষ করা লাগবি, বউটাই বা কিভাবে বাঁচপি।
মাসুদ রানার মরদেহ দ্রুত ফিরে পেতে এবং পরিবারের উন্নয়নে সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্বজনরা।
জানা যায়, ২০০৬ সালের ৭ জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন মাসুদ রানা। আরও পাঁচ বছর পরে তার অবসরের কথা ছিল। দরিদ্র পরিবারের জন্ম নেওয়া বিনয়ী মাসুদ দেড় মাস আগে যুক্ত হয়েছিলেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ বলেন, নিহত কর্পোরাল মাসুদ রানার পরিবারের আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটা করা হবে। সেনাবাহিনী থেকেও উনাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান তিনি।
