নির্বাচনি প্রচারকালে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২৭
ভোলা ও চরফ্যাশন প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের চকবাজারে নির্বাচনি প্রচারণাকালে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির কয়েক দফা সংঘর্ষ ও ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১১ জনকে। ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৩ জনকে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ হামলা ও পালটা হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জামাল উদ্দিনসহ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চরফ্যাশন হাসপাতালে নিলে সেখানেও বিএনপি কর্মীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ করেন জামায়াত নেতারা। পরে জামাল উদ্দিনকে ভোলায় রেফার করা হয়।
এদিকে আহত জামায়াত নেতাকর্মীদের চরফ্যাশন হাসপাতালে আনা হলে সেখানে দ্বিতীয় দফা হামলা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য নৌবাহিনী ও পুলিশ অবস্থান নেয়।
জামায়াত নেতাদের দাবি, বিএনপির হামলায় তাদের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপির পক্ষে উপজেলা যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন রাসেল দাবি করেন, জামায়াত ও শিবির বাহিনীর হামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. এমাদুল হোসেন উভয় দলের শীর্ষ নেতাদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
চরফ্যাশন থানার ওসি জাহাঙ্গীর বাদশাহর নেতৃত্বে পুলিশ টিম হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে উভয়পক্ষকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
হামলার বিষয়ে বিএনপি এবং জামায়াত নেতারা একে অপরকে দায়ী করছেন। ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল এ হামলার ঘটনায় বিএনপি কর্মীদের দায়ী করে এর বিচার দাবি করেছেন। বিএনপি মব সৃষ্টি করে জামায়াত নেতাকর্মীদের হত্যার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিএনপির যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, চকবাজার এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপি উভয় দলের গণসংযোগ চলছিল। জামায়াতের গণসংযোগে অংশ নেওয়া কিছু লোক বিএনপির গণসংযোগের ওপর হামলা করে। এক সময় আওয়ামী লীগ করা জামাল এখন জামায়াতের ব্যানারে হ্যান্ডমাইক নিয়ে বিএনপির প্রচারণার ভেতর ঢুকে পড়ে। এ নিয়েই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে ছিল।
এদিকে ভোলা জামায়াতে ইসলামীর মিডিয়া কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান, বিএনপি তাদের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় বাধা দিয়ে হামলা করে। এতে তাদের ১২ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। তাদের চরফ্যাশন ও ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এমাদুল হোসেন বলেন, হামলার বিষয়ে আমরা এখন স্পষ্ট হতে পারিনি। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরফ্যাশন থানার ওসি জাহাঙ্গীর বাদশা জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযানে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
