Logo
Logo
×

সারাদেশ

স্কুলের কক্ষে ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে

Icon

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম

স্কুলের কক্ষে ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ডেকে নিয়ে স্কুলের কক্ষে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ অভিযোগে জনি গাইন শান্ত (১৬) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতে তাকে উপজেলার গিলাতলা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত শান্ত গাইন উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের গীলতলা গ্রামের মহিতোষ গাইনের ছেলে।

নাজিরপুর থানার ওসি মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রোববার সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ধর্ষক ও তাকে সহযোগিতার অভিযোগে দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী, ধর্ষক ও তার সহযোগী উপজেলার গীলতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
 
দায়ের হওয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে পাওয়া তথ্যসূত্রে জানা গছে, ধর্ষক ও তার সহযোগী একই এলাকার আশীষ বেপারীর ছেলে অন্তু বেপারী দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে শান্ত গাইন তার বন্ধু অন্তু বেপারীর সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে বসে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় সহযোগী অন্তু মোবাইলের মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ও তা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়।

পরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী তাতে রাজি হয়নি। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই ধর্ষণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার তথ্য পায় ভুক্তভোগীর পরিবার।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পিতা বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি আসি। মামলা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতে অভিযুক্ত শান্ত গাইন ও তার পিতা মহিতোষ গাইন আমাদের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও মারধর করে।

ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজল বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক ও তার পিতা ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা ও তাকে মারধর করে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।

পিরোজপুর

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম