প্রেম প্রত্যাখ্যানে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ, ৪ জনের নামে ধর্ষণ মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে পথেঘাটে উত্ত্যক্ত করতেন হেলাল নামে এক যুবক। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় হেলালকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেছেন স্কুলছাত্রীর মা। ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার হোগলপাতি গ্রামের মো. দুলালের ছেলে হেলাল (২২), মো. রাব্বি (২২) ও দুই তরুণী।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
জানা যায়, বাদীর মেয়ে বামনার স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। আসামি হেলাল বাদীর মেয়েকে প্রথমে প্রেম নিবেদন করে। স্কুলছাত্রী হেলালের প্রেম নিবেদন প্রত্যাখ্যান করে। এতে হেলাল প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে।
১৫ এপ্রিল সকালে স্কুলছাত্রী বামনার কুমিরমারা গ্রামে শিক্ষক শফিক মিয়ার বাসায় গণিত বিষয় প্রাইভেট পড়তে যাবার পথে ছোট বাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছে। এমন সময় প্রধান আসামি হেলাল ও তার বন্ধু রাব্বি স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক হত্যার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে।
বাদী বলেন, আমার মেয়েকে হেলাল ও রাব্বি অপহরণ করে নেওয়ার সময় ঝর্ণা নামের এক নারী দেখে আমাকে জানায়। আমি আসামির বাড়িতে গিয়ে জানতে পারি পাথরঘাটা উপজেলার এক তরুণীর বাড়িতে আমার মেয়ে আছে। আমরা তার বাড়িতে যাওয়ার খবর পেয়ে হেলাল ও রাব্বি আমার মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়।
এ মামলার আসামি দুই তরুণী আমাকে আশ্বস্ত করেছে আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেবে। তারা চার দিনেও আমার মেয়েকে ফেরত দেয়নি। আমার দৃঢ়বিশ্বাস এক তরুণীর ঘরে আমার মেয়েকে আটক রেখে হেলাল জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এমনও হতে পারে সব আসামি আমার নাবালিকা মেয়েকে হত্যা করে তার লাশ গোপন করতে পারে। বিদেশেও পাচার করে দিতে পারে। আমার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা তাও আমি জানি না। আমার স্বামী থাকে বিদেশে।
আসামি হেলাল ও রাব্বির ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশ পেলে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করব।
