Logo
Logo
×

সারাদেশ

অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়

Icon

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ পিএম

অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে ২ প্রাথমিক বিদ্যালয়

রাজশাহীর বাঘার চকরাজাপুর ইউনিয়নের অসময়ে পদ্মার ভাঙনের মুখে হুমকিতে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আতারপাড়া বিদ্যালয় থেকে পাঁচ হাত দূরে রয়েছে ভাঙন থেকে। আর চৌমাদিয়া সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয় ভাঙন থেকে ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আতারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর নদীগর্ভে বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায়। পরে ভাঙন এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে টিনের বেড়া দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেই স্থাপনায় চলছে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম। এক বছর না যেতেই ফের ভাঙনের হুমকিতে বিদ্যালয়টি। বালুর বস্তা ফেলে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আতারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০২৪ সালে ফাইনাল পরীক্ষার আগে ভাঙনের কারণে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারেনি তারা। এবারও একই অবস্থা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নদীগর্ভে বিলীনের পর নতুন স্থাপনা নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। নিজেদের টাকায় ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। আবারও ভাঙনের মুখে পড়েছে স্কুল। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’

একই অবস্থা চকরাজাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা জানান, ১৯৫৫ সালে চৌমাদিয়া চরের সিরাজ মন্ডল ও ভানু বেপারী স্থাপন করেন। নদী ভাঙনের জেরে ইতিমধ্যে চারবার বিদ্যালয়টির জায়গা স্থানান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে চৌমাদিয়া চরে ১৫ বছর, তেমাদিয়ায় ১২ বছর, দিয়ারকাদিপুর ২৫ বছর ও টিকটিকি পাড়ায় ১১ বছর যাবৎ স্কুলের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এ শিক্ষক আরও বলেন, ‘স্কুলের মাত্র ১৫০ মিটার দূরে রয়েছে ভাঙন। এবারও হয়তো বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করা লাগবে।’

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রহমান দর্জি বলেন, ‘ভাঙনের কারণে আতারপাড়া ও চৌমাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় নদী গর্ভে স্কুল দুটি বিলীন হয়ে যাবে।’

চকরাজাপুর ইউনিয়নের ১ , ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড মোট ৭৫০টি পরিবারের তিন হাজার ৫০ জন মানুষ বসবাস করেন। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যত্র যেতে তারা বাধ্য হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।’

বাঘা পদ্মা নদী ভাঙন

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম