মে দিবসের র্যালিতে বিএনপির দুই গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি, সড়ক অবরোধ
যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের (মে দিবস) র্যালিতে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে
এতে উপজেলা শহরে বিএনপি ও শ্রমিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে নেতাকর্মীরা সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকায় বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পরেন সাধারণ মানুষ। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মির্জাগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে উপজেলা শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু সমর্থিত ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী সমর্থিত গ্রুপের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যানার টানাটানি, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে।
পরে জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী সমর্থিত শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা সুবিদখালী কলেজ রোড এলাকায় ফিরে বাকেরগঞ্জ-বরগুনা সড়ক অবরোধ করে রাখে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নুর বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টা পর মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মে দিবসের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করি। শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু আমাদের ব্যানার টেনে ছিঁড়ে ফেলে। এতে মে দিবসের শোভাযাত্রাটি পণ্ড হয়ে যায়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন নান্নু বলেন, মে দিবসের শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ফরাজী থাকায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সব ঠিক হয়ে গেছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শামীম হাওলাদার বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। শ্রমিক দলের কিছু লোকজন সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে সরিয়ে দিয়েছি।
