হেলিকপ্টারে কম্বোডিয়ান স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এলেন রকেট
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সন্তান মালয়েশিয়ায় থাকেন দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে। কর্মসূত্রে সেখানে গিয়ে তিনি বিয়ে করেন কম্বোডিয়ান এক তরুণীকে। সেই থেকে বাবা-মায়ের একটি স্বপ্ন- ছেলে একদিন হেলিকপ্টারে চড়ে প্রবাসী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসবে নিজ গ্রামে। সেই দৃশ্য দেখবে সাত গ্রামের মানুষ।
অবশেষে বাবা-মায়ের সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিলেন ছেলে রাকিবুল ইসলাম রকেট।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে হেলিকপ্টারযোগে স্ত্রী, কন্যাসন্তান, শাশুড়ি ও শ্যালককে নিয়ে পৌঁছান রকেট।
হেলিকপ্টার অবতরণের খবরে ওই এলাকার পালশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও রকেটের বাড়ির সামনে জড়ো হন হাজারও মানুষ। প্রবাসী বউকে একনজর দেখতে এবং হেলিকপ্টার দেখার উৎসাহে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ছুটে আসেন সেখানে।
রকেট পালশা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কৃষক আব্দুর রশিদ প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে যাত্রা করে হেলিকপ্টারটি পালশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে। তখন রকেট ও তার পরিবারকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান স্বজন ও প্রতিবেশীরা। এলাকায় আনন্দ-উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে।
রকেটের বড় ভাই রাসেল রানা জানান, রকেট মালয়েশিয়ায় কাজ করেন। সেখানে কাজ করতে গিয়েই পরিচয় হয় কম্বোডিয়ান তরুণীর সঙ্গে। পরে তাকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমাদের বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল রকেট যেন হেলিকপ্টারে করে বউ–সন্তান নিয়ে গ্রামে ফেরেন। সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই এ আয়োজন।
প্রতিবেশী মেরাজুল ইসলাম বলেন, ১৭ বছর আগে রকেট মালয়েশিয়ায় যান। শুনেছি সেখানে এখন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসাও করেন। সেই ছেলে আজ হেলিকপ্টারে করে বিদেশি বউ ও সন্তান নিয়ে ফিরে এসেছে- এটা আমাদের সবার জন্য আনন্দের। পুরো গ্রামে উৎসবের আমেজ।
রকেটের মা রাফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে ১৭ বছর পর বাড়িতে ফিরেছে। তাই ইচ্ছা ছিল ও যেন হেলিকপ্টারে বউ–সন্তান নিয়ে বাড়িতে আসে। আজ সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আশপাশের গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ও বিদ্যালয় মাঠে ভিড় করছেন।
রাকিবুল ইসলাম রকেট বলেন, বাবা–মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। দীর্ঘদিন পর নিজ গ্রামে এসে আত্মীয়-স্বজন আর প্রতিবেশীদের ভালোবাসা পাচ্ছি। এটা সত্যিই আনন্দের।
