Logo
Logo
×

সারাদেশ

একই পরিবারের চারজনসহ ৫ মৃত্যুতে গ্রামে শোকের মাতম

Icon

টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

একই পরিবারের চারজনসহ ৫ মৃত্যুতে গ্রামে শোকের মাতম

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজধানী ঢাকায় যাচ্ছিলেন মাওলানা বিল্লাল ফকির। সঙ্গে যাচ্ছিলেন তার বাবা সামাদ ফকির, মা সাহেদা বেগম ও ছোট বোন আফসানা আক্তার। পথে ঘটে বিপত্তি। চাকা পাংচার হয় অ্যাম্বুলেন্সের। রাস্তার পাশে যানটি রেখে চাকা পাল্টাচ্ছিলেন চালক। এরইমধ্যে দ্রুতগতির একটি বাস সেই অ্যাম্বুলেন্সে দেয় ধাক্কা। এতে অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদারসহ বিল্লাল ফকির, তার বাবা, মা ও বোন মারা যান। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান অন্তঃসত্ত্বা নারী রোজিনা আক্তার।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এক পরিবারের চারজনসহ নিহত মোট পাঁচজনই মাদারীপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের বাসিন্দা। একই গ্রামের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম।

বিল্লাল ও তার বাবা সামাদ ফকির দুজনই ছিলেন মসজিদের ইমাম। রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে গৃহবধূ রোজিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মিঠাপুর গ্রামে আনা হয় পাঁচজনের লাশ। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

ঘাতক বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি নিহতের পরিবারে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

বিল্লালের প্রতিবেশী মুন্নি আক্তার বলেন, ‘একসঙ্গে তারা চারজন মারা যাবে এটা কখনই বুঝতে পারি নাই। এ শোক আমরা কি করে সইবো। এটা মেনে নেবার মতো নয়।’

বিল্লালের ফুফাতো ভাই মাওলানা গোলাম রহমান বলেন, ‘এ ঘটনার জন্য দায়ী গোল্ডেল লাইন পরিবহণের চালক। আমরা তার ফাঁসি চাই। বেপরোয়া গতির কারণেই ঝড়ে গেল তাজা পাঁচটি প্রাণ।’

মিঠাপুরে গ্রামের বাসিন্দা রুস্তুম মিয়া বলেন, ‘নিহতের পরিবারে পাশে সরকার না দাঁড়ালে বাকি সদস্যরা ধুকে ধুকে মারা যাবে। আমাদের আশা সরকার ও প্রশাসন নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, ‘একইসঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। নিহতদের পরিবারকে এখন সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার নেই। সরকারিভাবে যত ধরণের সহযোগিতা করা যায় সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।’

টেকেরহাট সড়ক দুর্ঘটনা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম