ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমুর ভাতিজি জামাই যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

রোববার (১১ মে) বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার বাবু শেখেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। 

 জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম জুবায়েরের রাজপাশার গ্রামের বাড়ি থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে শেখেরহাট ক্যাম্প পুলিশ। 

বাবু সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর আপন চাচাতো ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন সুজনের মেয়ে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজিয়া হাসান নুরহানের স্বামী। তিনি বিয়ের পর থেকে আমুর মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বসবাস করতেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা জুবায়ের ও বাবুর বাড়ি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামে। সরকার পরিবর্তনের পর বাবু প্রায়ই বিএনপি নেতা জুবায়েরের বাড়িতে রাতযাপন করতেন। শনিবার রাতেও তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন। রোববার সকালে জুবায়েরের বাড়ির সামনে থেকে শেখেরহাট ক্যাম্পের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে ঝালকাঠি সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে  ঝালকাঠি শহরে বিএনপির মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, বাবুকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। শেখেরহাট ক্যাম্পের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তার নামে কোনো মামলা ছিল না। সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

ঝালকাঠি সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম জুবায়ের বলেন, যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু কোনোদিন আমার বাড়িতে ছিল না, তিনি আমার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হননি। পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে বলে শুনেছি।