Logo
Logo
×

সারাদেশ

সোনাতলায় দেড় শতাধিক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম

সোনাতলায় দেড় শতাধিক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেড় শতাধিক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। দীর্ঘদিন ধরে টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

তবে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের লোকজন বলছেন, সাময়িক কারণে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না; এটাকে অকেজো বলা যাবে না।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের চাহিদা অনুসারে টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। এদের মধ্যে নদীকূলীয় এলাকায় প্রতি বছর বন্যা মৌসুমে টিউবওয়েল স্থাপন করা হয় বেশি। এছাড়াও অন্য সময় চাহিদা ও বরাদ্দ অনুযায়ী নতুন নতুন টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়ে থাকে। আবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আরও বিপুলসংখ্যক টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বৈশাখের তীব্র তাপপ্রবাহে যখন পুড়ছে দেশ, ঠিক সেই সময় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন স্থানে মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলেও হাঁসফাঁস অবস্থা। রোদের তাপে তেতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা এই তাপপ্রবাহে যখন পুড়ছে দেশ, ঠিক সেই সময় বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দেড় শতাধিক অকেজো টিউবওয়েল মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে উপজেলার হুয়াকুয়া গ্রামের বাবু মিয়া, ঠাকুরপাড়া গ্রামের শামীমা আকতার, তেকানীচুকাইনগর গ্রামের আশরাফ উদ্দিন, খাবুলিয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, মহেশপাড়ার তুহিন মিয়া বলেন, তাদের এলাকায় এ ধরনের বহু টিউবওয়েল রয়েছে। যেগুলোতে বছরের পর বছর অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই ধরনের টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠছে না। ফলে মানুষ বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, বৈশাখ মাসে পানির স্তর স্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যায়। পাশাপাশি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে উঁচু এলাকার টিউবওয়েলগুলোতে সচরাচর পানি থাকে না। ফলে এ সময় কিছু কিছু টিউবওয়েলের পানি না ওঠার ঘটনা ঘটতে পারে।

সোনাতলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, এ উপজেলায় গত ১০ বছরে বিপুলসংখ্যক টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে। টিউবওয়েল কখনো অকেজো হয় না। বৈশাখ মাসে পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এ কারণে কিছু কিছু এলাকায় টিউবওয়েলে পানি ওঠে না। এ ধরনের অকেজো টিউবওয়েলের প্রকৃত সংখ্যা তার জানা নেই। কেউ তার দপ্তরে এ সম্পর্কে অবগত করেননি। আবেদন পাওয়া গেলে অকেজো টিউবওয়েলগুলো মেরামত করা হবে।

বগুড়া

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম