‘আওয়ামী স্টাইলে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না’
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ১১:১৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, কেউ কেউ মনে করছেন তারা দেশে আওয়ামী স্টাইলে নির্বাচন করবেন। কিন্তু আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশে এটা আর হবে না ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। ইউনুস সরকার নির্বাচনের যে রোডম্যাপ দিয়েছেন সেই ডেডলাইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে এ সরকারকে আর কেউ বিশ্বাস করবে না।
শনিবার (১৭ মে) অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে সুজানগর ও বেড়া উপজেলা শাখার আয়োজনে স্মরণকালের বিশাল এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। কিন্তু এই পরিবেশ বিঘ্নিত করতে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমাদেরকে কেউ চক্ষু রাঙিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবেন না, আমরা কারো চোখ রাঙানিকে পরোয়া করি না।
পাবনা-২ (সুজানগর ও বেড়ার আংশিক) আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও সুজানগর উপজেলা জামায়াতের আমীর জননেতা অধ্যাপক কে এম হেসাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও পাবনা-৪ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, পাবনা-৫ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে পাবনা-১ আসনের এমপি পদপ্রার্থী ড. ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা-৩ আসনের এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক আলী আজগর, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ, এসএম সোহেল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ডা. আব্দুল বাছেত খান ও বেড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আতাউর রহমান সরকার।
কর্মী সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন সুজানগর জামায়াতের সেক্রেটারি টুটুল হোসাইন বিশ্বাস।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পাবনা-২ আসনের পরিচালক শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক রেজাউল করিম।
সম্মেলন শেষে পাবনার ৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন রফিকুল ইসলাম খান।
পরে তাদের নিয়ে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি অনুষ্ঠানস্থল থেকে শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
