পাবনার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪১ শিক্ষার্থী অচেতন, ৬ জন হাসপাতালে
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই দিনে ৪১ শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ে ক্লাশ করতে এসে এসব শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এদিকে ক্লাশে এসে হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অসুস্থতার ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের দোতলার ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিকক্ষে ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী অচেতন হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ৫ জন ছাত্র। এর আগে রোববার ৬ জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেন বা কী কারণে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করে এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে তা শিক্ষক বা অভিভাবক কেউই বলতে পারছেন না।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে- শিক্ষার্থীর মাস সাইকোজেনিক ইলনেসে আক্রান্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসে। বিকাল ৩টার দিকে হঠাৎ সপ্তম শ্রেণির ৬ জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ে। এদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরপর সোমবার সকাল ১০টার দিকে ক্লাশ চলাকালে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির আরও ৩৫ জন শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের কাছে তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের দুটি শ্রেণিকক্ষ থেকে এক ধরনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এরপরই প্রথমে তাদের মধ্যে মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা অচেতন হয়ে পড়ে।
বেশ কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, স্কুলের ক্লাশরুমগুলো খুবই নোংরা। স্কুলে কোনো নিরাপত্তা নাই। কোনো বখাটে বা দুষ্কৃতকারীরা রুমে ঢুকে কোন চেতনানাশক স্প্রে করেছে কিনা-তা খতিয়ে দেখা দরকার।
কাজিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মো. ফরহাদ হোসেন ৪১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুটি শ্রেণিকক্ষে এক ধরনের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ধারণা করেন শ্রেণিকক্ষে কেউ চেতনানাশক স্প্রে করে থাকতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং তদন্ত করে দেখার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, তাহমিনা সুলতানা নিলা বলেন, ভ্যাপসা গরম অথবা ফুড পয়জনের কারণে অচেতন হয়ে থাকতে পারে। তবে পরীক্ষা না করে সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব না। ঘটনাস্থলে আমাদের মেডিকেল টিম পরিদর্শনে গেছেন। নমুনা পরীক্ষা করলেই রহস্য বের হয়ে আসবে।
এদিকে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ যুগান্তরকে বলেন, এতে ভয়ের কিছু নেই। শিক্ষার্থীরা মাস সাইকোজেনিক ইলনেসে আক্রান্ত। দুই-একদিনের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে।
