প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নদীতে নতুন পানি এসেছে। যা দেখতে শনিবার সকালে নদীর ধারে যায় ১০ বছর বয়সি শিশু রুহান। এরপর থেকেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটির। অবশেষে নিখোঁজের ২৩ ঘণ্টা পর নদী থেকে উদ্ধার হলো রুহানের লাশ।
রোববার সকাল ১০টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের
পিপলা গ্রামের পিপলা মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজের অদূরের নদী থেকে ভাসমান
অবস্থায় রুহানের লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
নিহত রুহান পিপলা গ্রামের গোকুল হোসেনের ছেলে। সে পিপলা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, শনিবার সকাল ১১টার দিকে পিপলা মাদ্রাসা
সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশে নদীর নতুন পানি দেখতে যায় রুহান। একপর্যায়ে
নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় শিশুটি। পরে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেয়। তাদের সহায়তায় ডাকা হয় রাজশাহী বিভাগীয় ডুবুরি দলকে।
তারা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে লাশ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
রোববার এলাকাবাসী পুনরায় শিশু রুহানের লাশ উদ্ধারে নদীতে নামে।
এ সময় নির্মাণাধীন ব্রিজের অদূরে মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে তারা। পরে সেখান থেকে লাশটি
উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম শিশু রুহানের মৃত্যু ও লাশ
উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোকুলের দুই সন্তানের মধ্যে রুহান ছোট। তার মৃত্যুতে
এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’
