Logo
Logo
×

সারাদেশ

কালাইয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

Icon

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম

কালাইয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

জয়পুরহাটের কালাইয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিন জানা গেছে, উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের ভেরেন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়তে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন এবং ৫ কক্ষ বিশিষ্ট টিনশেড ভবন রয়েছে। টিনশেড ভবনের ৫টি কক্ষের মধ্যে ৪টিতে চলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং বাকি একটিতে ভাঙ্গা ব্রেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষের দেয়ালেই দৃশ্যমান হয়েছে বৃহৎ অংশ জুড়ে ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে দেয়াল ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।  

এছাড়া পাকা ভবনের ৩টি কক্ষের মধ্যে একটি অফিস কক্ষ আর ২টি শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাকা ভবনেরও ছাদের অনেক অংশ থেকে পলেস্তারা খসে পড়েছে। 

১৯১২ সালে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে ভেরেন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাতষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে তিন কক্ষ এবং ১৯৯৪ সালে দুই কক্ষসহ ৫ কক্ষের টিনশেড ভবন নির্মিত হয়। ২০১১ সালে তিন কক্ষবিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির মোট আটটি কক্ষের মধ্যে টিনশেড ভবনের পুরাতন পাঁচটি কক্ষই ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৮৩ জন শিক্ষার্থী এবং ছয়জন শিক্ষক রয়েছেন।

পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সামিউল ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুলের ঘর দেখেন কত ভাঙ্গাচূড়া,আমাদের এই ঘরে পড়তে ভয় লাগে। 

চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী জাইফা আক্তার বলেন, দেয়ালে ফাটল, যদি দেয়ালটি ভালো থাকতো তাহলে আমরা নিশ্চিন্তে ক্লাশ করতে পারতাম। শ্রেণীকক্ষের টিন ছিদ্র থাকায় বৃষ্টির সময় পানি পড়ে। আমরা ক্লাশ করতে পারি না। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ ফরিদ উদ্দিন আক্তার বলেন, স্থান সংকুলান না হওয়ায় টিনশেড ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও আমরা ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছি। অতি দ্রুত আমাদের বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

 উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদুল আলম বলেন, উপজেলার ভেরেন্ডী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  অভিযোগ পেয়েছি। আমি নতুন এসেছি। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম