Logo
Logo
×

সারাদেশ

শরীয়তপুরের ‘শাহজাদা’ ১০ লাখ টাকায় বিক্রির অপেক্ষায় মালিক

Icon

কে এম রায়হান কবীর, শরীয়তপুর

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৫, ১০:৪১ পিএম

শরীয়তপুরের ‘শাহজাদা’ ১০ লাখ টাকায় বিক্রির অপেক্ষায় মালিক

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরু প্রস্তুতের প্রতিযোগিতা চলছে। এরই মধ্যে নজর কেড়েছে শরীয়তপুর জেলা শহরের এক খামারে লালন-পালন করা এক বিশালদেহী গরু। মালিক ভালোবেসে যার নাম রেখেছেন ‘শাহজাদা’।

তিন বছর বয়সি গরুটির ওজন এক হাজার কেজি। এর দাম হাঁকা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৭ লাখ টাকা। তবে তাতে বিক্রি করতে রাজি নন খামারের মালিক।

শরীয়তপুর পৌরসভার ধানুকা এলাকার খামারের মালিক মাহমুদুল হাসান। ২০১৯ সালে পড়াশোনা শেষে তিনি নিজের বাড়িতে গবাদিপশুর খামার শুরু করেন। গত বছর গোপালগঞ্জের একটি হাট থেকে তিনি সাড়ে তিন লাখ টাকায় একটি গরু কেনেন। পাকিস্তানি শাহিওয়াল জাতের গরুটির গঠন লম্বা ও আকর্ষণীয় হওয়ায় তিনি নাম দেন ‘শাহজাদা’। এক বছরে গরুটির ওজন এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় এক হাজার কেজিতে। লালন–পালনে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা।

শরীয়তপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলায় ৮ হাজার ৯৪টি গবাদিপশুর খামার আছে। কুরবানির ঈদ সামনে রেখে এসব খামারে ১ লাখ ২৬ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে, যা জেলার ২৮টি স্থায়ী ও ৩৫টি অস্থায়ী হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। এখানকার খামারিরা গরু নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন হাটে।

রোববার সকালে মাহমুদুল হাসানের খামারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ১০টি গরু আছে। পাইকার ও ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন, কেউ কেউ দাম বলছেন।

গরু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান বলেন, শরীয়তপুরে অনেক খামার ও হাটে ঘুরেছি। এমন বড় গরু এখনো চোখে পড়েনি। তবে এ বছর বড় গরুর চাহিদা তুলনামূলক কম। সামনে মাত্র পাঁচ দিন বাকি, এখনো হাটগুলোতে ক্রেতা তেমন দেখা যাচ্ছে না।

মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গরুটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাটে সোর্স লাগিয়েছি, অনলাইনেও তথ্য দিয়েছি। অনেকে এসে দেখে যাচ্ছেন, দাম বলছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম কেউ বলছেন না। তাই অপেক্ষায় আছি। বাজারে এ বছর বড় গরুর চাহিদা কিছুটা কম। তবে সামনে চাহিদা বাড়তে পারে, সেটার ওপরই নির্ভর করছে দাম।

শরীয়তপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শরীয়তপুর পৌর শহরের একটি খামারে ১ হাজার কেজি ওজনের গরু রয়েছে, যার মালিক এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি। খামারিরা জানিয়েছেন- অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বড় গরুর চাহিদা কম।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম