সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় মিলল ফিঙ্গারপ্রিন্টে
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারের মালশন এলাকায় বাইপাস সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বিকালে নওগাঁ পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ দল ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হন তিনি জয়পুরহাট সদরের শিমুলিয়া গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৯)।
গত ১৫ বছর পরিবারের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না।
আদমদীঘি থানার ওসি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধারায় ৬-৭টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। মনোমালিন্যের কারণে সাঙ্গোপাঙ্গরা তাকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা নাকি সড়ক দুর্ঘটনা- সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। মঙ্গলবার মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার সাইলোর পশ্চিমপাশে মালশন গ্রামে নওগাঁ-নাটোর বাইপাস সড়কের পাশে অজ্ঞাত ব্যক্তি মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। বাঁচার জন্য আকুতি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করতে না পেরে ও পাগল ভেবে সাড়া দেননি। পরে তিনি মারা যান। তার পরনে কালো প্যান্ট ছিল। খালি গায়ে থাকলেও কোমরে সাদা শার্ট ছিল। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আদমদীঘি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর তার পরিচয় শনাক্তে বগুড়া ও নওগাঁর পিবিআই ও সিআইডির বিশেষজ্ঞদের খবর দেওয়া হয়। বিকালে নওগাঁর পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ দল ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে শনাক্ত করে।
আদমদীঘি থানার ওসি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে ৬-৭টি মামলা রয়েছে। খবর পেয়ে বাবা-মা এসে জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সম্পর্কে নেই। তিনি নওগাঁ জেলায় বসবাস করতেন।
ওসি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে মরদেহ বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না দুর্ঘটনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত আদমদীঘি থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
