Logo
Logo
×

সারাদেশ

ফোনে ঢেকে নেওয়ার পর নিখোঁজ, এক সপ্তাহ পর মিলল রাজমিস্ত্রির লাশ

Icon

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ পিএম

ফোনে ঢেকে নেওয়ার পর নিখোঁজ, এক সপ্তাহ পর মিলল রাজমিস্ত্রির লাশ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিখোঁজের সাত দিন পর রাশিদুল ইসলাম রাসু (৩৫) নামের এক রাজমিস্ত্রির বস্তাবন্দী মরদেহ টয়লেটের ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের ভয়নগর গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মে এশার নামাজের পর একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে রাশিদুলের মোবাইলে। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হন এবং আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সন্ধান মেলেনি।

 

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে শুরু করেন। পরে তারা মৃত আব্দুস সালামের অনেক দিন যাবত ফাঁকা পড়ে থাকা বাড়ির টয়লেটের মলের ট্যাংকিতে একটি বস্তা দেখতে পান। খবর পেয়ে রাশিদুলের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি খুলে তার মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন।

নিহতের বাবা আবু সাঈদ বলেন, আমার ছেলে এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিল। কারো সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা এমন নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না। রাশিদুলের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। মেয়ে রাফিয়ার বয়স ৬ বছর ও ছেলে ইউসুফের বসয় মাত্র ৫ মাস।

রাশিদুলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, একটি ফোন কলেই আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেল। আমার ভালো স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে ওরা বস্তায় ভরে ফেলে দিয়েছে টয়লেটের ট্যাংকিতে। এখন আমি আমার দুই সন্তানকে নিয়ে কীভাবে বাঁচব?

বাঙ্গালা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) আশিকুর রহমান রিপন বলেন, রাশিদুল খুবই ভালো লোক ছিলেন। তার হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম