Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুরবানির মাংস নিয়ে খুন: কৃষক দল নেতাসহ ২৫ জনের নামে মামলা

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

কুরবানির মাংস নিয়ে খুন: কৃষক দল নেতাসহ ২৫ জনের নামে মামলা

ফাইল ছবি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কুরবানির মাংস নিয়ে হামলায় হুমায়ুন কবীর (৪৮) নামে এক অটোভ্যান চালক খুন হয়। সোমবার (৯ জুন) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হুমায়ুন কবীরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হুমায়ুন কবীরের স্ত্রী শিউলী বেগম (৪৫) বাদী হয়ে ২৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। 

প্রধান আসামি ময়না ইউনিয়নের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক ও আলফাডাঙ্গার শিয়ালদি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক লিয়াকত মাস্টারসহ ২৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

গত রোববার সকালে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বানিয়াড়ী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় সে মারাত্মক আহত হয়। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বানিয়াড়ী গ্রামে বিবাদমান দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেন ও উপজেলা পল্লি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নবীর হোসেন চুন্নু এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ময়না ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মাদ্রাসা শিক্ষক লিয়াকত হোসেন ওরফে লিয়াকত মাস্টার। 

নিহত হুমায়ুন কবীর নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক ছিলেন। ঈদুল আজহার দিন হুমায়ুন কবীর লিয়াকতের দলে থাকা ভাই-ভাতিজাদের নবীর হোসেন চুন্নুর দলে নিয়ে সেখান থেকে সামাজিকভাবে বিলি করা মঙ্গলবার রাতে কুরবানির মাংস গ্রহণ করে। এ নিয়ে ঈদের পরদিন রোববার ছাকেনের চায়ের দোকানের সামনে কৃষক দল নেতা লিয়াকত মাস্টারসহ তার সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর হোসেন চুন্নুর সমর্থক হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের কথা কাটাকাটি হয়। 

এর জেরে লিয়াকতরা হুময়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় হুমায়ুন কবিরসহ তার বড় ভাই মোস্তফা মোল্লা (৫৮), তার মেয়ে বেনি বেগম (২৩) ও এক ভাগিনা আহত হয়। 

মারাত্মক আহত হুমায়ুনকে ঢাকায় পাঠালে সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকালে হুমায়ুনের লাশ দাফন করা হয়।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহামুদুল হাসান বুধবার বলেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহত হুমায়ুনের স্ত্রী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম