|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করতেন জাতীয় পার্টি। এ রাজনৈতিক দল থেকে দুবার নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে। নব্বইর গণঅভ্যুত্থানে দলটির পতনের পর যোগ দেন বিএনপিতে। হন উপজেলা চেয়ারম্যান। বিএনপি সরকারের পতনের পর নিজের রূপ পরিবর্তনে দেরি করেননি তিনি। যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ওই দলের সুবাদে ফের নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে।
এতক্ষণ বলছিলাম রংপুরের পীরগঞ্জের সাবেক
এমপি নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের কথা। বারবার দল পরিবর্তনের জন্য স্থানীয়দের কাছে ‘ডিগবাজি’
নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ।
আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের
মামলায় বৃহস্পতিবার সাবেক এ এমপিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তিন হাজার একর
বনের জমিতে পিকনিক স্পট, ৮ ব্যাংক হিসাব ও ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি
ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ
আদালতে তোলা হয় নুর মোহাম্মদকে। ওই সময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন
না মঞ্জুর করে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাকে কারাগারে পাঠান।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী
পরিচালক রুবেল হোসেন জানান, নুর মোহাম্মদ মণ্ডলের মালিকানাধীন পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর
জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ক্ষমতার জোরে
বন বিভাগের জমি দখলে করে তিনি ওই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে
আটটি হিসাবে তার বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে
দুদক আইনে মামলা রয়েছে।
তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নুর
মোহাম্মদ গড়েছেন অঢেল অবৈধ সম্পদ। বন বিভাগের বিশাল জমি দখল করে তিনি গড়ে তুলেন বিনোদন
পার্ক ও লেক। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুর থেকে ২০২০
সালে মামলা করা হয়। এতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের
অভিযোগ আনা হয়।
