সুযোগ পেয়েও অর্থভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হাসানের
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহী তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের বাতাসপুর গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলী (২০)। মেধাবী এ শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না জাবিতে। এমতাবস্থায় দারিদ্র শিক্ষার্থীর পড়াশুনা চালিয়ে নিতে ব্যক্তি বা সংঠনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে তার পরিবার।
হাসান বাতাসপুর গ্রামের বেসারত আলীর ছেলে। গ্রামে গ্রামে ভাঙারি মাল
কেনাবেচা করেন এ বাবা। আর মা লতিফা বেগম বাসায় সেলাই মেশিনে কাজ করেন। দুজনের স্বল্প
আয়ে হাসানের পড়াশুনা এতো দূর গড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও বাবা-মা খুশির পরিবর্তে
চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও শিক্ষায় খরচের কোনো টাকা নেই
তাদের কাছে।
বেসারত আলী ও লতিফা বেগম জানান, তাদের ঘরে দুই ছেলে। এর মধ্যে হাসান
বড়। দুই ছেলেকে অতিকষ্টে জীবনযাপন করছেন তারা। এতো কষ্টের মাঝেও সন্তানদের পড়াশোনার
ব্যাপারে সবসময় উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।
হাসান বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করে ভাল শিক্ষক
হওয়ার স্বপ্ন দেখি। বাবা-মা অনেক কষ্ট করে পড়াশুনার খরচ চালিয়েছেন। পড়াশোনার জন্য টাকার
জন্য আমি কখনও কখনও মানুষের জমিতে দিন মজুরের কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫৪ তম হয়েছি। ভূগোল
ও পরিবেশ বিভাগে পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছি। আমার রেজাল্টে পরিবারের সবাই খুশি হয়েছেন।
এখন টাকার অভাবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবো কি না জানিনা। এ নিয়ে অনেক দুচিন্তায়
আছি। আগামী ৫ জুলাই ভর্তির সর্বশেষ তারিখ।’
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিয়াকত সালমান বলেন,
‘ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর ব্যাপারে আমি অবগত নয়। আবেদন করা হলে খোঁজখবর নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে
সহযোগিতা করা হবে।’
