বগুড়ায় বিএনপির কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার শাজাহানপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অধিকাংশ নেতাকর্মী গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়া। এরপরও তাদের দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
দলটির ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাতে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়, বগুড়া-নাটোর ও বগুড়া-ঢাকা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এর আগেও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন।
পোস্টারিংয়ের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফোরকান নামে এক যুবদল নেতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে হৃদরোগে মারা গেলেও দল থেকে হত্যা মামলা হয়। মৃতের বাবা মামলা প্রত্যাহারে এফিডেভিট ও লাশ উত্তোলনে বাধা দেন। এরপরও পুলিশ এ পর্যন্ত ৮২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক মামলায় এজাহার নামীয় ও তদন্তে পাওয়া আসামি গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে।
এরপরও সোমবার আওয়ামী লীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার রাতে নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করেছেন। এতে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাতের আঁধারে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে পোস্টার লাগিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। জানতে পেরে সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া জড়িতদের গ্রেফতারে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু বলেন, সংগঠনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নেতাকর্মীরা বিএনপির কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে। এর আগে বিএনপিরও আমাদের দলীয় কার্যালয়ে পোস্টারিং করেছিল। এতে দোষের কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা ফোরকান আলী গত ২০২৩ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে হৃদরোগে মারা গেছেন। পরিবার থেকে মামলা করা না হলেও দল থেকে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মৃতের বাবা আদালত ও পুলিশ সুপারের কাছে এ ব্যাপারে আপত্তি জানালেও অতি উৎসাহী পুলিশ এ মামলায় ৮২ জন নিরীহ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তিনি সর্বশেষ উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোল্লা আরিফ আজাদ পলাশকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এভাবে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগের সূর্য সন্তানদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, যুবদল নেতা ফোরকান আলী হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় আসামি যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মোল্লা আরিফ আজাদ পলাশকে চোপীনগর দক্ষিণপাড়ার আত্মীয় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পোস্টার লাগানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন; কিন্তু সেখানে কোনো পোস্টার পাওয়া যায়নি।
