ভাতিজার দায়ের কোপে চাচার কব্জি বিচ্ছিন্ন
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
বাইজিদ। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রফিকুল ইসলামের কব্জি শরীর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের চড়িলাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় চাচাকে উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম (৪৮) চড়িলাম গ্রামের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ভাতিজার নাম বাইজিদ (২৫)। তিনি আহত রফিকুল ইসলামের বড় ভাই দুধন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম এবং তার বড় ভাই দুধন মিয়ার মধ্যে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া কিছু জমির মাটি কাটা ও তার হিসাব-নিকাশ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই পারিবারিক কলহ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রায়শই বাগবিতণ্ডা, ঝগড়া ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতো। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি। পারিবারিক এ বিরোধ ধীরে ধীরে তিক্ত আকার ধারণ করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্বের সেই বিরোধের জের ধরে চাচা রফিকুল ইসলাম ও ভাই দুধন মিয়ার মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুধন মিয়ার ছেলে বাইজিদ সেখানে চলে আসে এবং তার চাচা রফিকুল ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বাইজিদ হাতে থাকা একটি ধারালো দা দিয়ে অতর্কিতভাবে চাচা রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। সে রফিকুল ইসলামের বাম হাতের কব্জিতে সজোরে একাধিক কোপ দেয়। ধারালো দায়ের আঘাতে রফিকুল ইসলামের বাম হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলামকে উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকায় নিয়ে যান।
নবীনগর থানার ওসি শাহীনূর ইসলাম জানান, ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি এবং প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
