মিছিল থেকে যুবদল নেতার ওপর ককটেল হামলা, শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেফতার
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে নিজ বসতঘর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফয়েজ আহম্মদ (৮৫) নামে এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সাহায্যের পর সকালে ঘরে ফিরে স্ত্রী দেখেন খাটের উপর স্বামীর হাত-পা বাঁধা লাশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ফয়েজ আহম্মদ উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বদ্ধ গেড়ামারা গ্রামের মৃত শেখ আহম্মদের ছেলে বলে জানা গেছে।
পরিবারের লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাতে নিহত ফয়েজের স্ত্রী ফিরোজা বেগম পাশের এক বাড়িতে গর্ভবতী নারীকে সাহায্যের জন্য গেলে বাড়িতে ফয়েজ আহম্মদ একা হয়ে যান। রাতের কোনো একসময় কে বা কারা তাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে খাটের উপর ফেলে যান।
পরে ভোর ৬টার দিকে ফয়েজ আহম্মদের স্ত্রী ফিরে এসে দেখেন স্বামীর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ খাটের উপর পড়ে আছে। এরপর তিনি পরিবারের অন্য সদস্য, প্রতিবেশী এবং পুলিশকে খবর দেন। জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মীরসরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ ও জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হালিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তবে কে বা কারা করেছে, কী কারণে এই হত্যা করেছে তা আমরা ধারণা করতে পারছি না।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন, খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে ফয়েজ আহম্মদের বসতঘরের খাট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘরে কেউ না থাকায় একা পেয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ভিকটিমের মাথায় ও মুখে কোপের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
