চুরি করতে বাঁধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, ৮ দিন পর মিলল বস্তাবন্দি লাশ
ঠাকুরগাঁও ও পীরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে চুরি করতে বাধা দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী। নিখোঁজের ৮ দিন পর সোমবার দুপুরে উপজেলার শ্বাসর গ্রামের ঝালাই সুমনের বাড়ির পাশে কাঁচা বাথরুমের ট্যাংকি থেকে তার অর্ধগলিত বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় স্বামী লিটনকে আটক করা হয়েছে। তিনি মাঝে মধ্যে চুরি করতেন বলে জানা গেছে।
রিমুর মা আসমা বেগম ও বাবা একরামুল জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের লক্ষীনন্দর বাজার এলাকার পুসুদ্দীনের ছেলে লিটন উপজেলার মালগাঁও চৌধুরীপাড়া গ্রামের একরামূলের মেয়ে রিমু আক্তারকে (২২) ৫ বছর পূর্বে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। লাইমা আক্তার (৩) নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে রিমু আক্তার ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এদিকে স্বামীকে চুরি করতে বাধা দেওয়ায় প্রায়ই সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। এজন্য লিটন তার স্ত্রী রিমুর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ২৩ জুন রাতে তার নিজ শয়ন ঘরে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে রিমু নিখোঁজ হয়েছে বলে রিমুর স্বজনদের জানায় লিটন।
রিমুর বাবা ইকরামুল হক জানান, ৭ দিন ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার স্বামী দেলওয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সে নানা কথা বলতে থাকে। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেলওয়ার রিমুকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
তার দেওয়া তথ্যমতে- খটশিংগা শিবরামবাটী এলাকার সুমন নামে এক ঝালাই মেকানিকের বাড়ির টয়লেট থেকে রিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে হত্যা করে লাশ টয়লেটে লুকিয়ে রেখেছিল। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কাজ চলছে।
