কাপাসিয়ায় বিদ্যুৎ বিল ব্যক্তিগত বিকাশে, মিটার রিডারের দুর্ব্যবহার
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১০:৫৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুতের এক মিটার রিডারের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা তার ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরে দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
মো. ওয়াজ উদ্দিন নামের ওই মিটার রিডার কোনো বাড়িতে গিয়ে আকস্মিক লাইন কেটে দেওয়ার হুমকি দিয়ে লাইন কাটার উদ্যোগ নেন। তার এমন হুমকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রাহক। ব্যাংকে বিল জমা দেওয়ার জন্য একদিন সময় চাইলেও তিনি দিতে রাজি হন না। এ মুহূর্তেই তার ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে টাকা দিতে বলেন। বাধ্য হয়ে গ্রাহক তার বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠান।
অনেক ক্ষেত্রে বিল জমা হয়, অনেক সময় হয় না। গ্রামের সাধারণ মানুষ হিসাব মনেও রাখতে পারেন না। আবার কয়েক মাস পর এসে পুনরায় ওই বিল পরিশোধের জন্য হুমকি ধমকি দেন। সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
টোক ইউনিয়নের নয়াসাঙ্গুন গ্রামের গ্রাহক ইব্রাহীম খলিল জুয়েল তার অভিযোগে জানান, পেশাগত কারণে তিনি ঢাকায় থাকায় তিন মাসের বিল বকেয়া পড়েছে। যার মোট পরিমাণ ভ্যাটসহ ৫৯০ টাকা। গত শুক্রবার দুপুরে তার বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডার ওয়াজউদ্দিন ফোনে বলেন- আপনার বাড়ির লাইন এখনই কেটে দেব। দশ মিনিটের মধ্যে টাকা দিবেন।
ইব্রাহীম বলেন, আমি তখন রাস্তায়, হঠাৎ করে লাইন কেটে দেবে এমন খবরে কী করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তাকে অনুরোধ করে একদিন সময় চাইলাম। রোববার সকালেই ব্যাংকে জমা দিব। তিনি বললেন, ১০ মিনিটের মধ্যেই বিকাশে আমার নাম্বারে দিতে হবে। দশ মিনিট পরই আমি লাইন কাটব। আপনি আমার যা পারেন কইরেন। আশপাশে এরই মধ্যে কয়েকজন লোক জড়ো হয়েছে বোঝা গেল। তার এমন ‘মস্তানি’ ভূমিকায় আমি খানিকটা বিব্রত হয়ে পড়ি। পরে আমি এক ঘণ্টা সময় চাইলাম। তিনি বললেন, ঠিক আছে আধাঘণ্টার মধ্যে দিতে হবে। তারপর উপস্থিত লোকজন অনুরোধ করে বিকাল পর্যন্ত সময় নেন তার কাছ থেকে। এ সময় তারাও বলেন, আপনার বিকাশে দেবে কেন ব্যাংকে জমা দেবে।
পরে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের নোটিশ অনুযায়ী বিল পরিশোধের জন্য ৩০ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ আরও তিন দিন সময় রয়েছে। ওয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওয়াজউদ্দিন বলেন, আমি ব্যক্তিগত বিকাশেই বিলের টাকা নেই এবং পরে অফিসে জমা দেই।
গ্রাহকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ আমরাইদ সাব-জোনের এজিএম রাব্বুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা দেখে ব্যবস্থা নেব।
