Logo
Logo
×

সারাদেশ

কেশবপুরে সাবেক মেয়রকে ধরে পুলিশে দিলেন ছাত্র ও যুবকরা

Icon

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

কেশবপুরে সাবেক মেয়রকে ধরে পুলিশে দিলেন ছাত্র ও যুবকরা

কেশবপুরের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের পৌর কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছেন।

বুধবার দুপুরে ১টায় কিছু ছাত্র ও যুবক রফিকুল ইসলামকে তার মাছের ঘেরের পাশে বসে থাকত দেখেন। এ সময় ছাত্র-যুবকরা রফিককে ধাওয়া দিলে তিনি বাড়ির পাশে আরিফুর রহমানের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

ওই বাড়ি তখন ঘেরাও করেন ছাত্র ও যুবকরা। তখন রফিকুল ইসলাম পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িসংলগ্ন খোঁজাখালি খালের কচুরিপানায় মধ্যে নেমে যান। সেখান থেকে তাকে ধরতে গেলে তিনি আবারও দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে কেশবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

এরপর যৌথ বাহিনীর একটি দল রফিকুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যান। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি তার বাড়ি পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ভোগতী এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

রফিকুল ইসলামকে ঘেরাও করতে যাওয়া যুবকদের মধ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কেশবপুরের মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সুইট বলেন, তাদের ওপর এলাকার মহিলারা হামলা করেছেন। ফ্যাসিবাদের দোসর নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা রফিকুল ইসলাম মেয়র থাকাকালীন এলাকার বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর একর পর এক অত্যাচার করেছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী পুষে জনগণকে জিম্মি করে রাখে। এলাকা থেকে শত শত কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। আজও এলাকার মহিলারা তাদের ওপর হামলা করেছে। অনেক ছাত্র যুবক আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর একটি দল রফিকুল ইসলামকে থানায় নিয়ে যায়। 

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ১৯০৮ সালের বিস্ময়কর দ্রব্য আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বলেন, তার স্বামী নির্দোষ। তার স্বামীর নামে কোনো মামলা নেই। তাকে মারধর করা হয়েছে বলে তার স্ত্রী দাবি করেন। এলাকার নারীরা ছাত্র-যুবকদের ওপর হামলা করেছে- এ ঘটনা সত্য নয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম