সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান ২ দিনের রিমান্ডে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আলোচিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান অপারেশন ঈগল হান্টের ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় নোয়াখালী জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। পরে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে শিবগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক শারমিন চৌধুরীর আদালতে অভিযুক্ত এসপি (বরখাস্তকৃত) আসাদুজ্জামানকে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম সাকিল হাসান।
এ সময় তিনি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসপি আসাদুজ্জামান সর্বশেষ নীলফামারী পুলিশের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের ইনচার্জ থাকাকালে বরখাস্ত হন। ২০১৭ জঙ্গিবিরোধী অভিযান অপারেশন ঈগল হান্টের চলাকালে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন। সম্প্রতি কয়েকটি মামলায় নোয়াখালী কারাগারে আটক ছিলেন সাবেক এসপি আসাদুজ্জামান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ জানান, জঙ্গিবিরোধী অভিযান অপারেশন ঈগলহান্টে নিহত আবুর স্ত্রী নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের দায়ের করা মামলায় আসদুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে আসাদুজ্জামান সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তার সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়ায় এবং সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান অপারেশন ঈগল হান্ট কী পরিকল্পিত বা সাজানো কোনো নাটক ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল ওদুদ জানান, ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল গভীর রাতে পুলিশ, র্যাব, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট টিমের যৌথ অভিযানে শিবগঞ্জের ত্রিমোহনী এলাকার মসলা ব্যবসায়ী আবুল কালাম আবুর বাড়ি ঘেরাও করে দুই দিনব্যাপী ব্যাপক গোলাগুলি করে। পরিকল্পিতভাবে জঙ্গি নাটকের ঘটনা সৃষ্টি করে আবুকে হত্যা করা হয়। পরে আরও তিনটি বস্তাবন্দি লাশ হেলিকপ্টারে এনে আবুর বাড়িতে নিয়ে রাখে।
এ সময় তাদের পেটের মধ্যে বোমা বেঁধে রেখে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার ৭ বছর পর ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নিহত আবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন শিবগঞ্জ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে বরখাস্তকৃত এসপি আসাদুজ্জামানকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, এ হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি একেএম শহিদুল হক, সাবেক কাউন্টার টেরোরিজম প্রধান ও সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও রাজশাহী রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজ সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়।
