পানির চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খাবার দুধ বিক্রি হচ্ছে পানির চেয়েও কম দামে। সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫-৩০ টাকায়। যা বাজারের বোতলজাত লিটার পানির চেয়েও ১০-১৫ টাকা কম।
বাজারে দুধের সরবরাহ বেশি এবং চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেক খামারিই এখন বাধ্য হয়ে কম দামে দুধ বিক্রি করছেন। অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে খামারিরা।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার বাইগুনী চারমাথা বাজারে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতোই আশপাশের প্রায় ১০-১২ গ্রামের স্থানীয় খামারি ও কৃষক বাজারে দুধ বিক্রি করতে এসেছেন। মান ভেদে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা লিটার। ৩০-৩৫ মন দুধ কেনা বেছা হয় বাইগুনি চারমাথা বাজারে।
মোহাইল গ্রাম থেকে দুধ নিয়ে আসা খামারী রাশেদুল ইসলাম বলেন, আজকে দুধের দাম পাইলাম ৩০ টাকা যা অন্যদিনের তুলনায় কম। ভূষি ও খৈল খাইয়ে আমার হাতে আর এক টাকাও নেই।
বাইগুনী থেকে দুধ বিক্রি করতে আসা আব্দুল ওহাব বলেন, ৩০ টাকা দরে দুধ বিক্রি করলাম গো-খাদ্য কিনে চা খাওয়ার পয়সাও রইল না।
বাগোইল গ্রামের মেহেদুল বলেন, দুধের যে দাম তাতে গরু পালন করাই কঠিন। সরকারের কাছে দাবি জানাই স্থানীয়ভাবে নির্দিষ্ট মূল্যে যেন দুধ কেনা হয়। তাতে কিছুটা হলেও আমাদের মত কৃষকের উপকার হবে।
বাইগুনী বাজারের দুধ ব্যবসায়ী ছানাউল হক বলেন, বর্ষাকালে দই, মিষ্টি ও ছানার চাহিদা কম থাকে। তাই দুধের দাম এখন অনেকটা কম।
সাবেক ফুটবলার ও স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু হানিফ বলেন, যেখানে প্রতিটা দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী বাজার সেখানে দুধের দাম কম হওযায় স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা দুগ্ধজাত প্রক্রিয়া থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। নির্দিষ্ট দামে কেনার জন্য সরকারের কাছে তিনি অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, মাঠ ফাঁকা ও পর্যাপ্ত ঘাস থাকার কারণে দুধের উৎপাদন বেশি হচ্ছে। দুধ ও ছানার চাহিদা কম থাকায় প্রতিবছর এ সময় দুধের দাম কমে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে আবার ঠিক হয়ে যাবে।

