সিংড়ায় নিখোঁজ শিশুর লাশ চাটমোহরে উদ্ধার
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
কেয়া খাতুন। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাটোরের সিংড়া থেকে নিখোঁজ ৪ বছরের শিশু কেয়া খাতুনের লাশ তিন দিন পর উদ্ধার করল চাটমোহর থানা পুলিশ। বিভিন্ন থানায় তথ্য পাঠিয়ে তার পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
নিখোঁজের তিন দিন পর মঙ্গলবার বিকালে পাবনার চাটমোহরের গুমানী নদীর কাটেঙ্গা এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাত এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে চাটমোহর থানা পুলিশ।
শিশু কেয়া খাতুন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগতিরাইল গ্রামের কাউছার আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলের শিশু শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো বলে জানা গেছে।
শিশুটি গত ৫ জুলাই নানার বাড়ি সিংড়া পৌরসভার শোলাকুড়া মহল্লার আত্রাই নদীর পাশে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলতে গেয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন শিশুর মা আঁখি খাতুন সিংড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
নিহত শিশুর খালা আছিয়া খাতুন মুঠোফোনে বলেন, শিশু কেয়া খাতুন গত শনিবার (৫ জুলাই) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী তিন শিশুর সঙ্গে আত্রাই নদীর পাশে খেলতে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং ও থানায় জিডি করেন। তিন দিন পর পাবনায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন শঙ্কিত হয়। এত দূরে গিয়ে কিভাবে এই লাশ ভেসে উঠলো, এ বিষয়ে তাদের মনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
সিংড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ জুলাই শিশু কেয়া খাতুন বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তার মা আঁখি খাতুন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনার তিন দিন পর পাবনার চাটমোহর গুমানি নদী থেকে একটি অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে শিশুটির পরিবারের লোকজন সেখানে রওয়া দিয়েছেন। তবে নিখোঁজ স্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সিংড়া থানা পুলিশ।
চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে অজ্ঞাতপরিচয় একটি শিশুর লাশ গুমানী নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। লাশটি পচে নষ্ট হয়ে গেছে, শরীরের কিছু কিছু জায়গা মাছে খেয়ে ফেলেছে। পরে বিভিন্ন থানায় তথ্য পাঠিয়ে তার পরনের কাপড় দেখে লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। শিশুটি হয়তো পানিতে পড়ে এখানে ভেসে এসেছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।
