Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫, উপজেলা সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম

৫ জন গুলিবিদ্ধ

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫, উপজেলা সদস্যসচিবকে কুপিয়ে জখম

পাবনার সুজানগরে বিএনপির বিবদমান দুইগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রউফসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের ১৫ জনকে সুজানগর ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পৌর এলাকার নন্দিতা সিনেমা হল রোডে এই সংঘর্ষ হয়। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শেখ আব্দুর রউফ ও মজিবর খাঁ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে দুপুর ২টার দিকে মজিবর খাঁর সমর্থক চরভবানীপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ খাঁর ছেলে সবুজকে নন্দিতা সিনেমা হল রোডে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুইগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং এ ঘটনার জন্য আব্দুর রউফকে দায়ী করে সবুজের লোকজন।

এ নিয়ে দুপুর আড়াইটার দিকে দুইগ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া শুরু হয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে দুইগ্রুপের মধ্যে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হন। দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।

আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকে কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। রউফসহ ৭ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং ৮ জনকে সুজানগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাবনা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুজন নামের আহত একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে সুজানগর থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবর রহমান বলেন, বিএনপির দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এটা কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ না। ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে এই সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ মামলা করেনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম