|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বগুড়ার শেরপুরের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাকে ধর্ষণের অভিযোগে পাবনার চাটমোহর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মিমোকে (৩৮) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এ নির্দেশ দেন।
আদালতের পিপি মোজাম্মেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মিমো বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার উত্তর সাহাপাড়ার মৃত খায়রুল আলমের ছেলে। তিনি গত দুই বছর ধরে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এরপর গত ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল তাকে কাহালু উপজেলার বাটলদীঘি নির্জন শ্মশানঘাট এলাকায় বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে তরুণী কাহালু থানায় ওই কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য বগুড়ার দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসে। কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মিমো হাইকোর্টে আবেদন করলে তাকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন মঞ্জুর ও নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ধার্য তারিখ অনুসারে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক নামঞ্জুর করে তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পিপি মোজাম্মেল হক ও আসামিপক্ষে রফিকুল ইসলাম এবং মোসলেম উদ্দিন লিটন মামলা পরিচালনা করেন।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশের পর ওই কৃষি কর্মকর্তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
