সুজানগরে সংঘর্ষে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী বহিষ্কার
পাবনা ও সুজানগর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনার সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফসহ দলের ১০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলায় বুধবার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার দলের ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কারের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃত অন্য নেতাকর্মীরা হলেন- সুজানগর পৌর বিএনপির ১নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মজিবর খাঁ, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল শেখ, পৌর ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল খাঁ, বিএনপি কর্মী লেবু খাঁ, পৌর যুবদলের সদস্য মানিক খাঁ, যুবদল নেতা মনজেদ শেখ, যুবদল কর্মী হালিম শেখ, ছাত্রদল নেতা শেখ কাউছার এবং এন এ কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি শাকিল খাঁ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- পাবনা জেলাধীন সুজানগরে রক্তাক্ত সংঘাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় মোলাম খাঁ ও সুরুজসহ যারা জড়িত ছিল তারা বিএনপি কিংবা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ নয়। তাদের সঙ্গে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখলে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফ, চর সুজানগরের জালালের ছেলে সুজন আলী, শেখ মনজেদ আলী, চর ভবানীপুরের শুকুর আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী, হোসেন, যুবদল কর্মী মানিক খাঁ, চর ভবানীপুরের রশিদ খাঁর ছেলে সবুজ খাঁ, চর সুজানগরের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুর রহমান, মাস্টারপাড়ার মোনায়েম খাঁর ছেলে শাকিল খাঁ, চর সুজানগরের আলতু খানের ছেলে রিয়াজ খান, টিক্কা খান, পাবনা সদরের চরতারাপুরের কাচিপাড়ার আজহার আলীর ছেলে তুষার, আসলাম ও মনজিলসহ ২৫ নেতাকর্মী আহত হন।
সুজানগর থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর থেকে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি, গ্রেফতার নেই। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
