বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান ও বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মণি বলেছেন, ঢাকা মিটফোর্ডে হাসপাতালের সামনে যুবদল কর্মী ও ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা হয়েছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে। সেটাকে চাঁদাবাজি বলে প্রচার করা হচ্ছে। মহলটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, অত্যন্ত সুচারুভাবে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে।

এই নৃশংস হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং সরকারের কাছে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। 

রোববার বিকাল ৫টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নে নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবারের খোঁজখবর নিতে এসে নূরুল ইসলাম মণি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত সোহাগের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। সোহাগের পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার কথাও বলেন তিনি। এছাড়াও তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। 

স্বামীর নির্মম হত্যার বিচার চেয়ে সোহাগের স্ত্রী লাকি বলেন, আমি আর কিছু চাই না, আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আমার মতো স্বামীহারা আর যাতে কেউ না হয়। কারো সন্তান বাবা হারা যেন না হয়। শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই আর কিছু চাই না।

স্থানীয় কাকচিড়া হাইস্কুল মাঠে এক পথসভায় নূরুল ইসলাম মণি বলেন, বর্তমানে দেশে এক সংকটময় সময় পার করছে। একটি মহল যেকোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, এই এলাকার সন্তান ঢাকা মিডফোর্ডের ব্যবসায়ী সোহাগকে তার ব্যবসায়িক পার্টনার ও তাদের ভাড়াটেরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। বিএনপি সঙ্গে সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দলের পক্ষ থেকে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্তদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি কোনো অপকর্মকে প্রশ্রয় দেয় না।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় আরও বক্তব্য দেন- বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম সফিকুজ্জামান মাহফুজ, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন হাসান শাহীন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাবেদুল ইসলাম জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নাভিল প্রমুখ।