যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন, স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে থামেনি চট্টলা এক্সপ্রেস। মূলত স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে থামেনি এ ট্রেন। এর জেরে ভোগান্তিতে পড়েন স্টেশনে থাকা যাত্রীরা। পরে বিরতিহীন সুবর্ণ এক্সপ্রেস থামিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানো হয়।
রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনে
ঘটে এ ঘটনা। এ ঘটনায় স্টেশনের সহকারী মাস্টারকে
সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৮০২ নম্বর চট্টলা
এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়ম অনুযায়ী নাঙ্গলকোট স্টেশনে থামার কথা ছিল। কিন্তু, স্টেশন মাস্টারের
ভুল নির্দেশনার কারণে ট্রেনটি না থেমে চলে যায়। ঘটনাটি ঘটে যখন স্টেশন সহকারী মাস্টার
রুপন চন্দ্র শীল লাকসাম কেবিন মাস্টারকে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দেন। তিনি চট্টলার পরিবর্তে
ভুলবশত ৭০২ নম্বর সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ভেবে সিগন্যাল দেন। ফলে নির্ধারিত স্টপেজ
উপেক্ষা করে ট্রেনটি চলে যায়।
এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট স্টেশনে থাকা যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। যাত্রীদের কেউ কেউ স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে
জবাবদিহি চান। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে নাঙ্গলকোটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস
ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠায়।
স্টেশন মাস্টার রুপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘আমি লাকসাম কেবিনে দায়িত্বরত
মাস্টারকে বলেছিলাম ট্রেন চালানোর জন্য। কিন্তু তিনি সম্ভবত ভুল করে চট্টলা এক্সপ্রেসকে
সুবর্ণ এক্সপ্রেস ভেবে স্টেশন না থামিয়ে চালিয়ে দেন।’
কেবিন মাস্টার শিমুল মজুমদার নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ৮০২
চট্টলা ট্রেনের কাগজ দিয়েছি। সুবর্ণ ট্রেনের নাম লিখিনি। আমরা মাস্টাররা ভুল করতেই
পারি। কিন্তু, ট্রেনের চালক বা গার্ড তো থামাতে পারতেন।’
নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন মাষ্টার জামাল হোসেন বলেন, সহকারী মাষ্টার রুপন
চন্দ্র শীল দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ভুলবশত সিগন্যাল
দিয়ে দেয়। কিন্তু, ট্রেনের চালক ও গার্ড চাইলে ট্রেন থামাতে পারতো। এ ঘটনায় স্টেশন
সহকারী মাষ্টার রুপন চন্দ্র শীল, ট্রেনের চালক, গার্ড তাদের সবাইকে হেডকোয়ার্টারে ঢাকা
হয়েছে।
কুমিল্লা রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন,
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন
হাতে পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
