মধুখালীতে যেভাবে বেড়েছে সেভাবেই কমেছে কাঁচামরিচের দাম
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুরের মধুখালী পৌর সদর বাজারে সোমবার ও শুক্রবার দুটি হাটে আড়তে বিক্রির জন্য এলাকার উৎপাদিত মরিচ নিয়ে আসেন কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে প্রতিদিন ব্যাপারীরা মরিচ খরিদ করতে আসেন এই বাজারে।
সোমবার হাটে ৬ হাজার টাকার মরিচ এক লাফে ১০ হাজার ও ১১ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রি হয়। তা বাজারে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি মরিচ ৩২০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর একই বাজারে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আড়তে পাইকারি ৫ হাজার ১শ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে।
মধুখালী মরিচ বাজারের আড়তদার মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল ও আতিয়ার রহমান মোল্যা জানান, অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় পানিতে গাছ তলিয়ে যাওয়ার কারণে মরিচের আবাদ কম হয়। সোমবার হাটে আমদানি কম হওয়ায় ব্যাপারীদের চাহিদা বেশি থাকায় মরিচের দাম এক লাফে বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার আড়তে প্রতি মণ ৫ হাজার ১শ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। আড়তে মূল্য প্রতি কেজি ১২৫ টাকা। মরিচের দাম আমদানি ও চাহিদার ওপর উঠানামা করে।
এদিকে হঠাৎ করে মরিচের দাম নিম্নগামী হওয়ায় চাষিরা হতাশ।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের মরিচ চাষি মো. কাউয়ুম শেখ জানান, ৬৫ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। অতি বৃষ্টিতে ৩০ শতাংশ জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মরিচ গাছ মরে যায়। লাভের মুখ আর দেখা হবে না।
একই গ্রামের মো. জলিল শেখ ৩৫ শতাংশে মরিচের চাষ করেছেন। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে অবশিষ্ট আছে ২০ শতাংশের মতো। এতে যে টাকা খরচ হয়েছে সেটা ঘরে আসবে না বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে চলতি বছর মধুখালী উপজেলায় মোট ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ করা হয়। অতিবৃষ্টিতে ১৫০ হেক্টর আক্রান্ত হয়। এছাড়া ১০ হেক্টর জমির মরিচ ক্ষতি হয়। অতিবৃষ্টির কারণে মরিচ গাছের ফুল নষ্ট হচ্ছে, ফুল হলেও পরাগায়ন কম হচ্ছে। যার জন্য মরিচের ফলন কম হচ্ছে।
